প্রিপেইড মিটার হেল্প লাইন নাম্বার: বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা একটি মূহুর্তও কাটানোর কথা কল্পনা করতে পারি না। আমাদের প্রতিদিনের জীবনের প্রায় সকল কাজেই বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধার্থে বাড়িতে বিদ্যুৎ মিটার স্থাপন করা হয়, যা বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদান করা হয়। এখন অনেক স্থাপনায় প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের চল শুরু হয়েছে। তবে এই নতুন ব্যবস্থার কারণে অনেকেই মিটারের সমস্যা হলে কাকে জানাতে হবে বা কোথায় অভিযোগ করতে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
আজকের প্রবন্ধে আমরা প্রিপেইড মিটারে যেসব সমস্যা দেখা যায় এবং কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সূচিপত্র
প্রিপেইড মিটার হেল্প লাইন নাম্বার
বাংলাদেশে বর্তমানে ছয়টি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে। তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে দিয়েছে। মিটার সমস্যার ক্ষেত্রে, নিচের হেল্পলাইন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন:
বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান | হেল্প লাইন নাম্বার |
---|---|
বিপিডিবি | ১৬২০০ |
বিআরইবি | ০১৭৯২-৬২৩৪৬৭ |
নেসকো | ১৬৬০৩ |
ওজোপাডিকো | ১৬১১৭ |
ডিপিডিসি | ১৬১১৬ |
ডেসকো | ১৬১২০ |
আরও পড়ুন: জমি রেজিস্ট্রেশনে নতুন মৌজা রেট (ভূমি রেজিস্ট্রেশন খরচ)।
প্রিপেইড মিটার কী ?
প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার হলো এমন এক ধরনের যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য পূর্বেই টাকা রিচার্জ করতে হয়। এতে আপনি আপনার বিদ্যুৎ খরচ এবং ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য একবারে পেতে পারেন। প্রিপেইড মিটার কনসেপ্টটি অনেক দেশেই চালু ছিল, তবে বাংলাদেশে এটি এখনো নতুন। ফলে অনেকেই এ সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত নন।
প্রিপেইড মিটারের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- ব্যালেন্স মনিটরিং: মিটারের স্ক্রিনে বর্তমান ব্যালেন্স দেখা যায়।
- বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরীক্ষণ: দৈনিক, মাসিক, এবং সব সময়ের বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
- লোড মনিটরিং: বর্তমানের লোড পরিস্থিতি মনিটরিং করা যায়, যেমন ভোল্টেজ, ইনপুট, আউটপুট, ইত্যাদি।
- নিয়ন্ত্রণ সুবিধা: আপনি নিজেই আপনার বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
প্রিপেইড মিটারের সুবিধা
প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের অন্যতম সুবিধা হলো আপনি আপনার বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রতিদিনের বিদ্যুৎ খরচ মনিটরিং করতে পারবেন এবং একান্ত প্রয়োজন না হলে খরচ কমিয়ে ফেলতে পারবেন। এর মাধ্যমে আর্থিক সাশ্রয়ও সম্ভব হয়। তাছাড়া, যদি কোনো কারণে বিল বকেয়া থেকে যায়, তখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঝামেলায় পড়তে হয় না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হবে।
প্রিপেইড মিটার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
প্রিপেইড মিটারের ব্যান্ড (মিটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান)
বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানি প্রিপেইড মিটার প্রস্তুত করে থাকে। যেমন, সেলটেক, ইলেকট্রা ইত্যাদি। আপনার স্থাপনায় ব্যবহৃত মিটার কোন কোম্পানির সেটি মিটারের গায়ে লেখা থাকবে।
প্রিপেইড মিটারের বিভিন্ন কোড ও তাদের কাজ:
প্রিপেইড মিটার পরিচালনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কোড প্রয়োজন হয়। নিচে কিছু সাধারণ কোড দেওয়া হলো:
- ব্যালেন্স চেক করার কোড: *123#
- দৈনিক ইউনিট ব্যবহারের কোড: *126#
- বর্তমান লোড দেখতে: *127#
কিভাবে রিচার্জ করবেন:
প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করার জন্য, প্রথমে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রিচার্জ টোকেন কিনতে হবে। তারপর টোকেনের নম্বর মিটারে প্রবেশ করালেই রিচার্জ সম্পন্ন হবে। রিচার্জ করার পদ্ধতি নিচের ধাপে তুলে ধরা হলো:
রিচার্জ প্রক্রিয়া:
- টোকেন ক্রয় করুন।
- মিটারের নম্বর দিয়ে ভাউচার বা টোকেন নম্বর ঢোকান।
- মিটারের স্ক্রিনে ভেরিফাই করুন রিচার্জ সফল হয়েছে কি না।
ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার পদ্ধতি:
প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের সময় যদি আপনার ব্যালেন্স ফুরিয়ে যায় এবং আপনি তাৎক্ষণিকভাবে রিচার্জ করতে না পারেন, তবে আপনি ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারেন। সাধারণত, ১০০-৫০০ টাকার মতো ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়া সম্ভব। এর জন্য কোড *120# ব্যবহার করা হয়।
প্রিপেইড মিটারে অনুমোদিত লোড:
প্রতিটি প্রিপেইড মিটারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লোড অনুমোদিত থাকে। এ তথ্য মিটারের প্যাকেজে উল্লেখ থাকে। যদি আপনার স্থাপনা বা বাড়ির লোড অনুমোদিত মাত্রার বেশি হয়, তাহলে তা অবশ্যই বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানে জানাতে হবে।
কিভাবে লোড কমাবেন:
মিটার থেকে অতিরিক্ত লোড কমানোর জন্য, প্রথমে বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহার মনিটর করুন। সেই অনুযায়ী কিছু বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ রাখুন।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য whatsupbddesk@gmail.com মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।