বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে চাইলে তুরস্কে যেতে কী কী ভিসা লাগবে তা জানতে হবে। অনেকেই গুগলে তুরস্ক ভিসার দাম কত এই বিষয়ে অনুসন্ধান করেন। তাই এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন তুরস্কের বর্তমান ভিসার মূল্য, তুরস্কে যেতে কত খরচ হয়, তুরস্ক ভিসার দাম কত, তুরস্কে চাকরির বেতন কত এবং তুরস্কে সর্বনিম্ন বেতন কত।
তুরস্ক পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য দেশ। তার ঐতিহাসিক স্থাপত্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়ায় অবস্থিত। বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রয়োজন এবং সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনার ভ্রমণ সহজ হবে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে চান, তাহলে আপনাকে ভিসা পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই নিবন্ধে আমরা তুর্কির ভিসার বিভিন্ন বিভাগ এবং এর খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করব।
সূচিপত্র
বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক ভিসার দাম কত
বর্তমানে তুরস্কে প্রচুর চাকরির (কাজের) চাহিদা রয়েছে তাই অনেকেই বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে চান কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন ভিসায় তুরস্কে যাওয়া যায়। যাই হোক, তুরস্কের ভিসার দাম আসলে ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে, কারণ ভিসার প্রতিটি ক্যাটাগরির দাম একই। তো চলুন আগে দেখে নেওয়া যাক, তুরস্কের কোন ক্যাটাগরির ভিসা আছে, তারপর সেই ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেই।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- পর্যটন ভিসা
- শিক্ষার্থী ভিসা
আপনি উপরে দেখতে পেলেন এই সমস্ত ভিসার মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে পারেন। তাহলে এখন নিচে থেকে দেখা যাক উপরের ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যেতে কত টাকা লাগে।
তুরস্ক ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই তুরস্কে যাচ্ছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আগ্রহ বাড়ছে। অনেকে আবার কাজের জন্য তুরস্কে যাচ্ছেন। কিন্তু তুরকিতে যেতে কত খরচ হয় তা অনেকেই জানেন না।
- তুরস্ক স্টুডেন্ট ভিসার খরচ: ৪ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা
- তুরস্ক কাজের ভিসার খরচ: ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা
- তুরস্ক ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ: ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
এই খরচের মধ্যে ভিসা ফি, এজেন্সি ফি, টিকিট, ভ্রমণ বীমা, বাসস্থান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। আপনি যদি নিজে ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাহলে ভিসার খরচ কম হতে পারে। যাইহোক, প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে এবং ভুলভাবে করা হলে আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তুরস্কে কাজের ভিসার কত খরচ হয় তার সঠিক তথ্য পেতে দেশে প্রবাসী বাঙালিদের কাছ থেকে তথ্য নিন। এটিও পড়ুন – পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার নিয়ম জানতে পড়ুন।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হচ্ছে তুরস্কে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি ভিসা। অনেকেই জানতে চান এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে তুরস্ক যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে। একটি তুর্কি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ অন্য যেকোনো কাজের ভিসার চেয়ে বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক যেতে প্রায় ৮,০০,০০০ টাকা থেকে ১০,০০,০০০ টাকা খরচ হয়।
পর্যটন ভিসা
বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে তুরস্কে যেতে প্রায় 2,50,000 টাকা থেকে 3,50,000 টাকা খরচ হয়। এই ভিসার মেয়াদ সর্বনিম্ন ১ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ মাস। এই ভিসা আপনার তুরস্ক সফরের সময়কালের জন্য বৈধ। আপনি যদি কোন চাকরি বা কোম্পানিতে যেতে পারেন, তাহলে ভাল। তা না হলে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে ফিরতে হবে।
শিক্ষার্থী ভিসা
যদি কেউ স্টুডেন্ট ভিসায় তুরস্কে যেতে চান এবং স্টাডি এবং বোর্ড সহ কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে চান, তাহলে মোট খরচ হবে প্রায় 12,00,000 টাকা থেকে 15,00,000 টাকা। এবং এটা আরো কিছু টাকা বেশিও হতে পারে।
তুরস্ক কাজের বেতন সর্বনিম্ন কত
অনেকেই তুরস্কে ন্যূনতম মজুরি (বেতন) কত তা জানতে চান, উপরের লেখাটি পড়ে আপনি দেখতে পাবেন যে বর্তমানে তুরস্কে বিভিন্ন ধরণের শ্রমিক কাজ খুঁজছেন। উদাহরণস্বরূপ, তুরস্কে সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন বেতন কত? তাই যাই হোক, যেকোন কাজের ভিসায় আপনি তুরস্কে যান, ন্যূনতম বেতন হবে ৩৫,০০০ টাকার মত, কম নয় হয়তো বেশি।
তুরস্ক কাজের বেতন কত টাকা
তুরস্কে কাজ করার জন্য বেতন এমন কিছু কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে। উচ্চ-স্তরের চাকরি যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, ড্রাইভিং, নির্মাণ, ওয়েব ডেভেলপার, ক্লাউড সিস্টেম, সাইবার সিকিউরিটি, এবং ডাটাবেস জবগুলি বাংলাদেশের মূল্যায়ন অনুযায়ী প্রায় 2,50,000 টাকা থেকে 4,00,000 টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যদি বলেন নিম্নমানের চাকরির মধ্যে রয়েছে: বিভিন্ন ধরনের মেশিনিস্ট, কৃষি কাজ, অনেক ধরনের পরিচ্ছন্নতার কাজ এবং নিরাপত্তা প্রহরী। এই সব চাকরিতে বেতন হবে প্রতি মাসে প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ বাংলাদেশী টাকা।
FAQs
বাংলাদেশি নাগরিকদের কি তুরস্ক ভিসার প্রয়োজন?
বাংলাদেশি নাগরিকদের তুরস্ক ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন। তবে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, ইরাক, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এই দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা অনলাইনে তুরস্কের ইলেকট্রনিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তুরস্ক ই-ভিসা কি?
তুরস্ক ই-ভিসা হল একটি ইলেকট্রনিক ভিসা যা পর্যটন, ব্যবসা এবং ট্রানজিট ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশি নাগরিকরা এই ভিসা ব্যবহার করে স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে তুরস্কে যেতে পারবেন।
তুরস্ক ই-ভিসা কতদিনে অনুমোদিত হয়?
তুরস্ক ই-ভিসা সাধারণত ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনুমোদিত হয়।
তুরস্ক ই-ভিসা দিয়ে কতদিন তুরস্কে থাকা যাবে?
তুরস্ক ই-ভিসা দিয়ে ৩০ দিন পর্যন্ত তুরস্কে থাকা যাবে।
তুরস্ক ভ্রমণের জন্য আরও কি কি জানা দরকার?
তুরস্ক ভ্রমণের জন্য আপনার ভ্রমণ বীমা করিয়ে নেওয়া উচিত।
তুরস্কের মুদ্রা হল তুর্কি লিরা।
তুরস্কের অফিসিয়াল ভাষা হল তুর্কি। তবে, অনেক মানুষ ইংরেজিতে কথা বলতে পারে।
আমাদের মতামত
আমি আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন তুরস্ক ভিসার দাম কত, তুরস্কে বেতন কত এবং তুরস্কে যেতে কত টাকা খরচ হয়। আমাদের ওয়েবসাইট পেজে চোখ রাখুন এবং বিভিন্ন দেশে সোনার দাম, টাকার বিনিময় হার এবং বাংলাদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দৈনিক আপডেট পেতে আমাদের WhatsApp চ্যানেলে যোগ দিন।
DISCLAIMER
এই আর্টিকেলে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলি বিশ্বাসযোগ্য, যাচাই করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত মিডিয়া হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য যে আমরা সমস্ত নির্ভুল তথ্য দিয়েছি। কোনো প্রতিক্রিয়া বা অভিযোগের জন্য [email protected] মেইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।